চুয়াডাঙ্গায় তুচ্ছ ঘটনার জেরে ছুরিকাঘাতে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ছুরিকাঘাতের পর দুজনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার ভালাইপুর হুচুকপাড়া রোডের প্লাস পয়েন্ট নামে একটি কাপড়ের দোকানে কাপড় কিনতে গিয়ে দর কষাকষি নিয়ে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। তারই জেরে ছুরিকাঘাতে দুই যুবক নিহত হয়েছেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের টিপু সুলতানের মা ছামেনা খাতুন প্লাস পয়েন্ট নামক ওই দোকানে কাপড় কিনতে যান। সেখানে কাপড়ের দর কষাকষির সময় তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে তাকে (ছামিনা খাতুন) কাপড় মাপার স্কেল দিয়ে আঘাত করে দোকান থেকে বের করে দেন দোকান কর্মচারী।
বিষয়টি তার ছেলে টিপুকে বললে তিনি তার বন্ধু সজল, মামুনুর রহমান ও পলাশদের সঙ্গে নিয়ে ওই দোকানে যান। এ সময় সদর উপজেলার হুচুকপাড়া গ্রামের আলার ছেলে আকাশ, ওসমানের ছেলে সানোয়ার, জাঙ্গাঙ্গীর, মুছা করিমের ছেলে শান্তি ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায় তাদেরকে।
এ সময় ছুরির কোপ পেটে লেগে গুরুতর জখম হন সজল ও মামুনুর রহমান। পরে স্থানীদের সহায়তায় চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের টিম তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক সজলকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে মামুনুরও মারা যান।
চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, মরদেহ দুটি বর্তমানে সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। বুধবার (২৬ এপ্রিল) লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে। এদিকে ঘটনার দিন রাত থেকেই হত্যার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশ নানামুখী অভিযান চালাচ্ছিল।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘটনার সাথে জড়িত মানিক ও মিঠু নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মাহাব্বুর রহমান কাজল।
টিএইচ